১) আপনার রান্নাঘরই আপনার ঘরের সুস্বাস্থ্যের উৎস। কেবলমাত্র একটি পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম রান্নাঘরেই স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা সম্ভব।
২) রান্নাঘরে থাকা চাই যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সবকিছু পরিপাটি করে সাজানো রান্নাঘর হলে তবেই সম্ভব সহজে ও দ্রুততম সময়ে খাবার প্রস্তুত করা।
৩) স্যাঁতসেতে, ভেজা বা অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা বা কাজ করার উদ্দীপনা পাওয়া কোনটিই হয়ে ওঠে না।
৪) রান্নাঘরে প্লেট-বাটি, হাঁড়ি পাতিল প্রতিটি জিনিস ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিলে ভেজা ভাব কম হয়।
৫) মাছ, মাংস, সবজি নির্দিষ্ট স্থানে কেটে সেই স্থানটি ধুয়ে নিলে কটু গন্ধের সৃষ্টি হবে না।
৬) রান্নাঘরের শেল্ফ ও ক্যাবিনেটজের দরজাগুলি মাঝে মাঝে খুলে রাখলে ভেতরে স্যাঁতসেতে ভাব তৈরি হয় না।
৭) আবর্জনা ঢাকনাসহ পাত্রে ফেলা উচিৎ।
৮) রান্নাঘরে থাকা চাই পর্যাপ্ত আলো বাতাস। এক্সহস্ট ফ্যান থাকলে ভাল হয় যাতে রান্নাঘরের ধোঁয়া বেরিয়ে যেতে পারে।
৯) রান্নাঘরের দেয়ালে বিশেষ করে চুলার আশেপাশের দেয়ালে ব্যবহার করতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী টাইল্স বা প্লাস্টিক পেইন্ট যা সহজেই পরিষ্কার করতে পারবেন।
১০) প্রতিটি জিনিস লেবেলিং করে কৌটায় বা নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করুণ। সকল তৈজসপত্র মাসে অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। সেই সাথে প্রতিবার ব্যবহারের পরে অথবা দিনে অন্তত একবার চুলা পরিষ্কার করুন।
১১) ফ্রিজের পরিচ্ছন্নতায় হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা বা ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে পরিষ্কার করুন। এতে করে ফ্রিজে দুর্গন্ধ হবে না।
১২) ফ্রিজে এক টুকরা লেবু কেটে রাখলে বা এক প্যাকেট খাবার সোডা রেখে দিলে ফ্রিজের ভিতর বাজে গন্ধ থাকে না ও ফ্রিজ থাকে পরিষ্কার।
১৩)সব্জি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ক্রিস্পারে রাখুন। প্যাকেটের মুখ অবশ্যই ভাল করে আটকে নেবেন।
১৪) শাকপাতা ফ্রিজে রাখার সময় আঁটি খুলে রাখুন এবং কাঁচামরিচ রাখার আগে বোঁটা খুলে রাখুন। তাহলে আর পচে যাবার ভয় থাকে না।